শরীয়তপুরের সখিপুর থানার বিভিন্ন এলাকায় সাপের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। গ্রামের পথে-প্রান্তরে, কোথাও কোথাও বসতভিটার আশপাশে, পরিত্যাক্ত ঘরের গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে আসায় গ্রামাঞ্চলে সাপের উপদ্রব ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। এতে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
গত ২৫ মার্চ ভেদরগঞ্জ উপজেলাধীন সখিপুর থানা ক্যাম্পাসে সাপ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল আনন্দ বাজার এলাকায় এক প্রবাসী যুবক এবং ১২মে সখিপুর ইউনিয়নের এক ব্যবসায়ীর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়।
সাপের কামড়ে অসুস্থ হয় বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন বয়সি নারী-পুরুষ। দক্ষিণ তারাবুনিয়া, চরভাগা, আরশিনগর, কাঁচিকাটা, ডিএমখালী ও সখিপুর থেকে প্রতিদিন দুই তিনটি সাপ ও বেশ কিছু ডিম উদ্ধার করেছে সাপুড়ে মিনু ঢালী। গত শুক্রবার শিশুসহ ৫ জনকে সাপে কামড় দেয়। চিকিৎসাসেবা নিয়ে সকলে সুস্থ হয়েছেন।
গত শনিবার রাসেল বাইপার ও পদ্মগোখরা, রাজগোখরাসহ সতটি বিষধর সাপ ধরা পড়ে। বিষাক্ত সাপ কামড়ালে তার জন্য অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ ও এটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রোধ করার জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন সেবিষয়ে জরুরি সভা ডেকে সখিপুর থানার ৪টি ইউনিয়নে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন শরীয়তপুর ২ আসনের এমপি ও সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। তাই কোনো ওঁঝা বা কবিরাজের কাছে না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ নিকটস্থ কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে এসে বিনামূল্যে সেবা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এমপি।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, শরীয়তপুর ২ আসনের এমপির সহযোগিতায় ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সখিপুর থানার চারটি কেন্দ্রে এখন সর্প-দংশনের প্রতিষেধক অ্যান্টিভেনমের পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবারহ আছে।
এই অ্যান্টিভেনমটি শিরায় ইঞ্জেক্টেবল একটি তরল মিশ্রণ যা পদ্মগোখরা, রাজগোখরা, রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) এবং শঙ্খিনী বা কমন ক্রেইট ইত্যাদি সাপের বিষ প্রতিরোধে সক্ষম। তবে ওঁঝার কাছে গিয়ে সময় নষ্ট না করে খুব দ্রুত রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ নিকটস্থ কেন্দ্র এসে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন।
টিএইচ